অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম আবারও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ছিটমহলটিতে ইসরায়েল খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর অনাহারকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
অক্সফাম বলেছে, সর্বাত্মক অবরোধ শুরুর পর গাজায় যে পরিমাণ খাদ্যের প্রয়োজন তার মাত্র দুই শতাংশ প্রবেশ করেছে। এই জরুরি খাদ্য সংকট অবসানে প্রতিদিন ১০৪ ট্রাক খাদ্য প্রয়োজন।
সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য পরিচালক সালি আবি খলিল বলেছেন, এই পরিস্থিতি ভয়ংকর ছাড়া কিছু নয়, মানবতা কোথায়? পুরো বিশ্বের সামনে লাখো বেসামরিককে সমষ্টিগত শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। অনাহারকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কোনও ন্যায্যতা থাকতে পারে না। বিশ্বনেতারা নিষ্ক্রিয় ও দেখে যেতে পারেন না। তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার দায় রয়েছে এবং তা এখনই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। শিশুরা টানা বোমা বর্ষণে মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পানি দূষিত হয়ে পড়েছে বা ভাগাভাগি করে পান করতে হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে পরিবারগুলো শিশুদের খাবার দিতে পারবে না। গাজাবাসীরা আর কত সহ্য করবে?
যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসেবে অনাহারকে নিষিদ্ধ করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কথা উল্লেখ করে অক্সফাম বলেছে, এটি বেদনাদায়কভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে গাজায় উদ্ভূত মানবিক পরিস্থিতি রেজ্যুলিউশনের নিন্দার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পর ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। অবরোধ ছাড়াও হামাস শাসিত গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে গাজায় আরও ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছেন তারা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৭০টি ত্রাণবাহী ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল।
Leave a Reply